📅 বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
logo
📤 Facebook 📤 Twitter 📤 WhatsApp
ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েই সীমান্তে গোলাবর্ষণ করছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড
ছবি: ছবি সংযুক্ত

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েই সীমান্তে গোলাবর্ষণ করছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড

✍️ প্রতিবেদক: Sohag Hasan | প্রকাশিত: 27 Jul, 2025 12:44 PM | বিভাগ: আন্তর্জাতিক | 👁️ ভিউ: 18

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সীমান্ত সংঘাতের মাঝেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে সহিংসতা থামেনি। খবর বিবিসি।

শনিবার স্কটল্যান্ডের গলফ রিসোর্টে ব্যক্তিগত সফর শুরুর সময় ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

কম্বোডিয়া ট্রাম্পের অনুরোধে ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি’ মেনে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, ‘কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতা বহু সৈনিক ও বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।‘

অন্যদিকে, থাইল্যান্ড যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'নীতিগতভাবে সম্মত' হলেও তারা চায় প্রথমে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ হোক। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘থাইল্যান্ড বিশ্বাস করে, সংলাপের মধ্য দিয়েই স্থায়ী শান্তি অর্জন সম্ভব। তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিক ইচ্ছা দেখতে চায় থাইল্যান্ড।‘

ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হলেও শনিবার রাতে সীমান্ত অঞ্চলে গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। ২৪ জুলাই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩৩ জন সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ।

কম্বোডিয়া এরইমধ্যেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। সামরিকভাবে তুলনামূলক দুর্বল এই দেশটি থাই গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় জায়গা ও সরঞ্জাম হারাচ্ছে।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি না হলে বাণিজ্য আলোচনা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ থেমে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো বাণিজ্য আলোচনা হবে না।‘

১ আগস্ট থেকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ৩৬% শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের এক সপ্তাহ আগে এলো। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সানজিয়ামপংসা একদিন আগেই বলেছিলেন, ‘আমরা এখনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন মনে করি না।‘

এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নিতে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বহু দশক ধরেই বিরোধপূর্ণ। এ বিরোধের মূল উৎস ১৯০৭ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে আঁকা একটি মানচিত্র। কম্বোডিয়াকে থাইল্যান্ড থেকে আলাদা করতে ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। ওই মানচিত্র ধরে কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে কম্বোডিয়া। তবে মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছে থাইল্যান্ড।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিরোধ রয়েছে প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো প্রেয়া ভিহেয়ার মন্দির নিয়ে। ১৯৬২ সালে কম্বোডিয়াকে এ মন্দির এলাকার মালিকানা দেয় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। ফলে দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে।

মন্তব্য লিখুন